আজ মঙ্গলবার, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চায়ের কাপে শেষ দিনে নির্বাচনী আলোচনার ঝড়

চায়ের কাপে শেষ দিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়নগঞ্জ জেলা শহর ও তার আশপাশ এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে চা’য়ের দোকানগুলোতে কর্মজীবি, শেষাজিবি, শ্রমজীবি, বিভিন্ন বয়সের তরণ-তরুণীদের আড্ডায় চায়ের চুমকে নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দিক নিয়ে বইছে বিভিন্ন প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ ও ক্ষমতা-প্রভাবের বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এসব আলোচনা সমালোচনায় চা পানে অবস্থা একে একে যোগ দিতে থাকলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বড় হতে থাকে এক মুখ থেকে আরেক মুখ চলে যাচ্ছে এতেই তাদের আলোচনা-সমালোচনার ঝড় দীর্ঘ হচ্ছে। তারাও বেশ আনন্দ নিয়ে, হাসি উজ্জল মুখে সবাই সবার কথা শুনছেন একেক জন একেক রকম যুক্তি তুলে ধরছেন। তাদের এসব আলোচনা-সমালোচনা ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকে ঘিরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারের উন্নয়নের ব্যাপক প্রশংসা তুলে ধরছেন। আবার কেউ কেউ সরকার দলের অনেক পাতী নেতাদের কর্মকান্ড তুলে ধরে বলছেন, এলাকার পাতী নেতাদের কারণে এবার কিছু একটা ঘটতে পারে ! কি ঘটতে পারেও ? এ কথার উত্তর পরিষ্কার না। তবে তারা বলছেন, পাতী নেতাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী যদি ঘুরে দাঁড়ান তবেই প্রভাবশালী নেতা পাতী নেতাকে সাথে রাখার কারণে পরাজয় বরণ করতে পারেন এমটাই চায়ের চুমুকে আড্ডায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

সরেজমিন শহরের খানপুর, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, নিতাইগঞ্জ, চাষাড়া এলাকা ঘুরে, দোকানীর নাম আলম। তখন বিকাল সাড়ে ৪টা। তার চা’য়ের দোকানে খোব ভিড় থাকে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন বসেন একটু চা চুমক দিতে। এখানে কয়েকজন আলাপ-আলোচনা করছেন, নির্বাচনের ভোট নিয়ে। পাশের দোকানের পাশের টেবিলে বসে বেশ ভালই লাগছিল শোনতে তাদের অলোচনা। তাদের কথায় কথায় দু’চারজনের নামের শব্দ কানে আসে।

আক্কেল মোল্লা, হক মিয়া, মধু মিয়া। তাদের আলোচনায় আক্কেল মোল্লা বলছেন, স্বাধীনতার পরে অনেকবার নির্বাচন দেখছি। তবে আমার আক্কেল খোলছে গত বারের নির্বাচন দেখে। এইবার কি হইব তা আক্কেলে ধর না আমার। এবার মধূ মিয়া খোব মধুর শোরে বলছেন, আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তন হলেই আমাগ কি না হইলেই কি ? এমন কথা শোনার পর হক মিয়া বলছেন, শোনেন, হক কথা কইলেইত ডান্ডা পড়ব আমার গাড়ে নয়ত ছেলের গাড়ে ! আমি খারাপ লোক সবাই বলে ! কারন আমি হক মিয়া উচিত ছাড়ি না।

শহরের চাষাড়া শহীদ মিনার এলাকার চায়ের দোকানে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী রায়নান ও আলতাফ তালুদান। তাদের আলোচনাটা এ রকম ছিল, তারা বলছিলেন, এবার প্রথম ভোট দিবেন। গত নির্বাচনের আগে ও পড়ে যে জ্বালাও পোড়াও হয়েছে তা ভাবলেই খারাপ লাগে। এক সরকার টানা কয়েকবার ক্ষমতায় থাকলে পরিকল্পনা মাফিক দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে যুগপযোগি উন্নয়ন তাও আমাদের ভাল লাগছে।

শহরের ২নং রেল গেট এলাকার ডিগু বাবুর বাজার (ডিগুর বাজার) নামে পরিচিত। বাজারের পাশে শীতলক্ষ্যা নদী। পারের রাস্তার পাশে সারি সারি চা,দোকান। এখানে শ্রমজীবি মানুষের ও ব্যবসায়ীদের আনাঘোনা বেশি। ২৮ ডিসেম্বর। সময় সন্ধা ৬টা। ক্লান্ত মনকে প্রশান্ত করতে অনেকেই গরম চা কাপে চুমক বসাতে দেখা যায়। এখানে যারা চা,পান করছেন তাদের অনেকেই চেচিয়ে চেচিয়ে বলছেন, নির্বাচনের ভোট কেমন হবে ? সরকার পরিবর্তন হলে হতেও পারে, নাও হতে পারে। এমন সম্বাবনা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন কয়েকজন। এমন কথা বলার মানুষগুলোর ভাবনা কেমন তা প্রশ্ন ? তারা কথা বলছেন। তাদের কথার সামাধানও তারাই দিচ্ছেন। একজনের নাম লাখ মিয়া, অপরজনের নাম ফকির চাঁন। তারা বলছেন, ভোট দিব কে জিতব তা জানি না। ৩০ তারিখে আমি ভোট আমি দিতে পারলে শান্তি।